প্রকাশিত: Wed, Feb 7, 2024 12:32 AM
আপডেট: Thu, Jun 26, 2025 8:47 AM

[১] মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন অজিত দোভাল, ঢাকা এসেছিলেন শনিবার

সালেহ্ বিপ্লব: [২] অঘোষিত সফরে এসে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল মিয়ানমারের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেন। [৩] শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠনের পর এটিই ছিলো ভারতের পক্ষ থেকে প্রথম শীর্ষ পর্যায়ের সফর। তারা নিরাপত্তা সংক্রান্ত অন্যান্য ইস্যুতেও আলোচনা করেছেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া

[৪] জানা গেছে, অজিত দোভালের সঙ্গে ছিলেন আরো ৩ কর্মকর্তা। তারাও ভারতের নিরাপত্তা সুরক্ষায় উচ্চমধ্যম সারির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। 

[৪.১] এ সফরের ব্যাপারে ঢাকা কিংবা নয়াদিল্লি কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি। 

[৫] সূত্রমতে, একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে তারা বাংলাদেশে সংক্ষিপ্ত সফর করে গেছেন। শনিবার (বাংলাদেশ সময়) বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে ভারতের বিশেষ ফ্লাইটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অতরণ করে, যার নাম্বার ছিলো আইএফসি-০০৬৪। সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে তাদের ইমিগ্রেশন শেষ হয়। রোববার এনএসএকে বহনকারী ফিরতি ফ্লাইটটি ঢাকা ছেড়ে যায়। 

[৬] ভারতের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলেছে, অজিত দোভালের ঢাকা সফরের অন্যতম কারণ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে দেশটির সীমান্তরক্ষীদের পালিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতে আশ্রয় নেয়ার প্রেক্ষিতে সৃষ্ট নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়ে। 

[৭] মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে গত ৫ দশকেরও বেশি সময় ধরে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে বিভিন্ন সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর। তবে এই লড়াই নতুন গতি পেয়েছে ২০২১ সালে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে।

[৮] ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থী নেত্র অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং এ অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন।

[৯] সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করার পরপরই ফুঁসে উঠেছিল মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী জনতা। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবিতে দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু করেন তারা। কিন্তু মিয়ানমারের পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভ দমনে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা শুরু করার পর ২০২২ সালের দিকে গণতন্ত্রপন্থীদের একাংশ জান্তাবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোতে যোগ দেওয়া শুরু করে।

[১০] ২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষ দিক থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর জোট পিপলস ডেমোক্রেটিক ফোর্স (পিডিএফ)। জোটভুক্ত ৩টি গোষ্ঠী তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), আরাকান আর্মি (এএ) এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) এই সংঘাতের নেতৃত্বে রয়েছে।

[১১] বাংলাদেশ এবং ভারত- দু’দেশেরই দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে মিয়ানমারের সঙ্গে। বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তের দৈর্ঘ্য ২৮৩ কিলোমিটার এবং ভারত-মিয়ানমার সীমান্তের দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার। সম্পাদনা: ইকবাল খান